নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ২০ জুলাইয়ের সংলাপে অংশ নেবে না বিএনপি।
বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বিএনপি। সে কারণে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে অংশ নেয়নি দলটি। এমনকি কমিশন গঠনের পর ইভিএম নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও সাড়া দেয়নি বিএনপি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপেও বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ সংলাপেও অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। দ্বিধায় রয়েছে শরীক দলগুলো।
দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের বাইরে নির্বাচন কোনো আলোচনায় যেতে চান না তারা। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ইসি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু বলেন, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্ধকারে রেখে দাওয়াত দিলে সেখানে যাওয়া উচিত হবে না। সেজন্য আমরা অংশ নিচ্ছি না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনের কথাবার্তা অত্যন্ত কৌশলী। ইভিএম নিয়ে তিনি এখনো মন স্থির করেননি। মনস্থির বহু আগে করে এসেছেন। আমাদের শুনাচ্ছেন মন স্থির করেননি। এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা আশা করলে, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান জানিয়ে হলেও ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেবে বিএনপি। আর সংলাপে অংশ না নিলেও থেমে থাকবে না ইসির নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এবারও যদি তারা নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ না নেয়। আগের মতো একগুঁয়েমি করে, তাহলে নির্বাচন কমিশন তাদের রোডম্যাপ অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যাবে। বিএনপির জন্য বসে থাকবে না।
এর আগে ইভিএম নিয়ে ইসির মতবিনিময়ে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ ১১টি দল। আর ইসি গঠনে সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দেয়নি ১৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
জয়নিউজ/পিডি