মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আজ সোমবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জোরারগঞ্জ থানাধীন বারৈয়ারহাট ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এরা সংখ্যায় ১২ থেকে ১৪ জন। তাদের সাথে মহিলা সদস্যও ছিলো বলে জানায় স্থানীয়রা।
জানা গেছে, বারৈয়ারহাট বাজারের ফুট ওভার ব্রীজের ডিভাইডারের কাটা অংশ দিয়ে মহিলা পথচারীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে পার হওয়ার সময় তাদের মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্রটি।
সাইফুল নামে এক ব্যাক্তি জানান, গত কয়েকদিন আগে রাস্তা পার হওয়ার সময় তার বোনের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একটি মোবাইল হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
তবে যে লোক মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তাকে এক সিএনজি ড্রাইভার ফলো করতে সক্ষম হয় ও তার চেহারা চিহ্নীত করে। চক্রটিকে ধরতে স্থানীয়রা গত ২দিন ধরে সড়ক পারাপারের উপর নজর রাখছিল।
তারই ধারাবহিকতায় সোমবার সকালে বারৈয়ারহাট ট্রাফিক মোড় এলাকায় দুই মহিলাসহ ৪ জনের মোবাইল ও টাকা হারানোর ঘটনা তাদের নজরে আসে।
এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে মামুন নামের চিহ্নীত লোকটিকে সিএনজি ড্রাইভার সনাক্ত করে ও তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মোবাইল চুরির ঘটনা স্বীকার করে।
মামুনকে বাচাতে আসলে তার সাথে থাকা সোহেল নামে আরেক জনকেও আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে দিয়ে দূর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে তাদের এক সদস্যের পা ভেঙ্গে গেছে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে জানালে ছিনতাই চক্রের অন্য দুই সদস্য হাসপাতালে ছুটে আসে।
এভাবে এ চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হলেও ঘটনাস্থলের সামান্য দূরত্বে থাকা আরো কয়েকজন সদস্য ঘটনা বুঝতে পেরে সেখান থেকে দ্রুত সঁটকে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশের এএসআই রতন ঘটনাস্থলে এসে ছিনতাইকারী সদস্যদের থানায় নিয়ে যায়।
জোরাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর হোসেন মামুন ঘটনার সত্যতা স্বাীকার করে বলেন, ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে স্থানীয়রা কৌশলে আটক পুলিশের হাতে তুলে দেন।
তাবে তাদের নাম পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা যে নাম পরিচয় দিয়েছে তা যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। নাম পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।
জেএন/পিআর