সরকার সবার জন্য ঠিকানা নিশ্চিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ঠিকানা নিশ্চিত করবে সরকার।

- Advertisement -

ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় আরো ২৬ হাজার ২শ’ ২৯টি ঘর হস্তান্তর করার সময় তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের কাছে এসব উপহারের ঘর তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

- Advertisement -google news follower

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এই গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন।

এসময় তিনি মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলার সকল উপজেলাসহ সারাদেশের ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা দেন।

- Advertisement -islamibank

প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানের সাথে সংযুক্ত হন।

স্থানগুলো হচ্ছে- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্প, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ন প্রকল্প, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলাধীন চর ভেড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্প, পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন মহানপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্প ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলাধীন জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ন প্রকল্প।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান পাবে।”

তিনি বলেন, “পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যখন দেশে ফিরি আমাদেরকে ৩২ নাম্বারের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা ৩২ নাম্বারের রাস্তায় বসে দোয়া পড়েছি, সবার মাগফিরাত কামনা করেছি।”

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা-একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি, যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তর হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি। আজ হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরও নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর।

ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ঘরগুলোকে বেশি টেকসই করে নির্মাণ করতে মজবুত কড়ি কাঠ, পাথরের সর্দল ও রিইনফোর্স কংক্রিট কলাম (আরসিসি) পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।

জেএন/এএম

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM