রপ্তানিকারকরা ডলার বিক্রি করায় বেড়েছে প্রবাহ
রপ্তানিকারকদের প্রত্যাবাসন কোটার (ইআরকিউ) সীমা অর্ধেক কমিয়ে আনায় রপ্তানিকারকেরা উদ্ধৃত ডলার বিক্রি শুরু করেছেন। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।
রপ্তানিকারকদের ইআরকিউ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমার পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পোশাক খাতের রপ্তানিকারকেরা ১৫ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ৭ শতাংশ, সেবা খাতের রপ্তানিকারকেরা ৬০ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ এবং আইসিটি খাতের উদ্যোক্তারা ৭০ শতাংশের পরিবর্তে ৩৫ শতাংশ ডলার ইআরকিউ হিসাবে রাখতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর কাছে ইআরকিউর ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার জমা ছিল। বুধবার পর্যন্ত এর মধ্যে থেকে ২৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছেড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। সামনে আরও ১০ কোটি ডলার বিক্রি করতে হবে।
ডলার-সংকট নিরসনে গত বৃহস্পতিবার একসঙ্গে চারটি সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ৫০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের বেসরকারি যেকোনো আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ফলে সংকট কিছুটা কমার আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানিকারকেরা ৯৮ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ডলার বিক্রি করছেন। ব্যাংক তা কিনে কিছুটা বেশি দামে আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করছে। যেসব আমদানিকারক সরাসরি কিনতে পারছেন, তাঁরা কিছুটা কম দামে ডলার পাচ্ছেন।
জয়নিউজ/পিডি