দেশের জনশক্তি তথা বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হলো।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের রাউজান ও সন্ধীপে দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়াও গোপালগঞ্জ, রংপুর, পাবনা, নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, দিনাজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, গাজীপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট ও কিশোরগঞ্জে এসব কেন্দ্র নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেন জনশক্তি ও কসর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরো।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ১০ টি ট্রেডে প্রতিবছর ৪০ হাজার ৯৬০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে এসব কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
চট্টগ্রাম প্রান্তে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ থেকে সংযুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদারসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
বৈদেশিক শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের মাধ্যমে শিল্পখাতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারা দেশে কারিগরী প্রশিক্ষণের সুযোগ এবং কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ প্রভৃতি লক্ষ্য নিয়ে এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো চালু হওয়ায় সারা বছর ১০৪ টিটিসি ও ৭ টি আইএমটি বছরে ৯ লক্ষ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারবে। ফলশ্রুতিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর জন্য নির্ধারিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ১০.৭ এর আওতায় কম খরচে অভিবাসন নিশ্চিত করা যাবে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানে দক্ষ কর্মী প্রেরণ শতকরা ৫০ ভাগে উন্নীত হবে। এতে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচনসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে সরকারে প্রতিশ্রুতি প্রতিবছর প্রতি উপজেলা থেকে ১০০০ জন দক্ষ কর্মী প্রেরণ সম্ভব হবে।
চট্টগ্রামের রাউজানের কুণ্ডেশ্বরীতে প্রতিষ্ঠিত কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষে ছয়টি ট্রেড কোর্সে প্রশিক্ষাণার্থীগণ ভর্তির সুযোগ পাবে। ট্রেডসমূহ হচ্ছে- ইলেক্ট্রিক্যাল, আটোমেশন, রিফ্রেজেটর, কম্পিউটার, গার্মেন্টস ও মেশিনসপ। প্রতি আসনে ভর্তিও সুযোগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী। প্রশিক্ষণের মেয়াদ হবে ৬ মাস। আর সন্দ্বীপের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসব কোর্সের সাথে বাড়তি আছে সিভিল ও ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন কোর্স। নবনির্মিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে একাডেমিক ভবন, প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, ডরমিটরী ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা। রাউজানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ব্যায় ৩০৭.৫১ লক্ষ টাকা এবং সন্ধীপের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ব্যায় ২১৬৩.৬২ লক্ষ টাকা।
জেএন/কেকে