রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বাসস্থান হিসেবে খ্যাত সুন্দরবনে প্রাণীটিই এখন বিপন্নের পথে। দিন দিন কমে আসছে বাঘের সংখ্যা। গেল তিন বছরেই সুন্দরবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি মৃত বাঘ। তাছাড়া মিলেছে দুটির চামড়া।
মূলত সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তোলা শিল্প কারখানা ও ফুড সাইলো এবং বনের ভিতর দিয়ে চলাচল করা জাহাজের বিভিন্ন প্রকার দূষণে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বাঘের।
তাছাড়া বনের গাছকাটা, খাদ্য সংকট, বিষ দিয়ে মাছ ধরা ও অপরিকল্পিত পর্যটনের বিরুপ প্রভাব পড়েছে বাঘের উপর।
খুলনা সুন্দরবন একাডেমি নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সুন্দরবনের ব্রান্ড হচ্ছে বাঘ। তাই এই বাঘ যদি আমরা সংরক্ষণ করতে না পারি এবং বাঘের বৃদ্ধি যদি ঘটাতে না পারি তাহলে এই ব্যাপারটি আমাদের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ হবে।
এছাড়াও অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বার্ধক্যজনিত কারণেও কমে যাচ্ছে বাঘ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে কমেছে বাঘের বিচরণক্ষেত্র।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, বৈধ ও অবৈধভাবে নানা রিসোর্স কালেকশনে সুন্দরবনে মানুষ যায়।
যেই জায়গাগুলোতে বাঘের একান্তই আশ্রয়স্থান সেখানে গিয়ে মানুষ নানা রকম কর্মকান্ড করে। এদিকে বনে বন্য শূকর পরিমানও কমে গেছে। বাঘের প্রধান খাবার হিসেবে ধরা হয় শূকরকে।
এদিকে, বাঘ ও বাঘের শিকার প্রাণির অবস্থা জানতে আগামী নভেম্বরে শুমারি করার কথা থাকলেও মেলেনি অর্থ বরাদ্দ। ফলে চলতি বছর বাঘ শুমারি নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন হোসেন বলেন, শীতের মৌসুম শুরু হলে আমরা বাঘ নিয়ে জরিপ করবো। আমাদের মাঠ পর্যায়ে কাজের যায়গাটা আরও বাড়াতে হবে।
জেএন/পিআর