প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেরালার ত্রিশূর এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে তার নমুনা আলাপ্পুঝার গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশাবলী মেনে দেহ সৎকার করতে পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের দাবি, মাঙ্কিপক্সের মতোই ওই যুবকের দেহে উপসর্গ ছিল। এক চিকিৎসক বলেছেন, ‘যখন ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন ওঁর শরীরে কোনও র্যাশ বা ফোস্কা ছিল না। পরে এ ধরনের উপসর্গ দেখা যায়।’
জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরেন ওই যুবক। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। শরীরে র্যাশ ও ফোস্কা দেখা যাওয়ায় মাঙ্কিপক্স ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ভারতে চার জনের শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে তিন জনই কেরালার বাসিন্দা। চতুর্থ যে ব্যক্তি এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, তিনি দিল্লির বাসিন্দা। তার বিদেশ সফরের কোনও ইতিহাস নেই।
দেশে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কেরালার ওই ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় এক বালকের দেহে মাঙ্কি ভাইরাসের উপসর্গ দেখায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ওই বালককে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই লোকের বাড়ি ওড়িশায়। ১৫ দিন আগে সে অন্ধ্রপ্রদেশে আসে। এক সপ্তাহ পর তার জ্বর হয়। সেই সঙ্গে দেহে র্যাশও দেখা যায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
জেএন/পিআর