ওবেদ ম্যাকয় ক্যারিয়ারের ১৮তম ম্যাচে এসে ২৫ বছর বয়সী পেসার পেয়েছেন নিজের প্রথম ফাইফারের দেখা, যেদিন আবার একাই সাজঘরে ফিরিয়েছেন ভারতের ৬ ব্যাটারকে। তার অতিমানবীয় বোলিংয়ের দিনে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যা সমতা ফিরিয়েছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
সেন্ট কিটসে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস ভাগ্যটাও এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে। ইনিংসের সূচনা করা ম্যাকয় প্রথম বলেই শিকার করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে সফরকারী দল। কোনো ব্যাটার প্রত্যাশামত প্রতিরোধ তো গড়তে পারেননি, উল্টো ম্যাকয়ের অগ্নিঝরা বোলিং ভীষণ চাপ সৃষ্টি করে ভারতের ওপর।
হার্দিক পান্ডিয়া ৩১ বলে ৩১, রবীন্দ্র জাদেজা ৩০ বলে ২৭ ও রিশভ পান্ট ১২ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ যথাসম্ভব বড় করার চেষ্টা করেন। তবে ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান ম্যাকয়। একে একে তিনি তুলে নেন ৬টি উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করা এই বাঁহাতি পেসার খরচ করেছেন মাত্র ১৭ রান। নিজের ক্যারিয়ার সেরা তো বটেই, টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারও এটি। এর আগে কোনো ক্যারিবীয় বোলারই এক ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করতে পারেননি। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭ম সেরা বোলিং ফিগার এটি।
ম্যাকয়ের বোলিং তোপে ১৯.৪ ওভারে ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতেই ১৩৮ রানে অলআউট হয় ভারত। অন্যান্যদের মধ্যে জেসন হোল্ডার শিকার করেন দুটি উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রেন্ডন কিং। কিংয়ের রাজকীয় ব্যাটিংয়ে অপর প্রান্তের ঘাটতিও খুব একটা চোখে পড়েনি। কাইল মেয়ার্স ৮, অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ১৪ ও শিমরন হেটমেয়ার ৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। অবশ্য ৫২ বলে ৬৮ রান করে কিং বিদায় নিলে খানিক চাপে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
তবে ডেভন থামের ব্যাট পথ হারাতে দেয়নি দলকে। ১৯ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থেকে থমাস নিশ্চিত করেন দলের জয়। রভম্যান পাওয়েল ৫ রান করে আউট হলেও ৪ রান করে অপরাজিত থেকে থমাসের সঙ্গী ছিলেন ওডিন স্মিথ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। আভেশ খান প্রথম বলে করেন নো বল, ব্যাটাররা প্রান্ত বদল করেন একবার। ফ্রি হিটে ছক্কা হাঁকানোর পর থমাস পরের বলে চার হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ৫ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে। ম্যাচ শেষে সিরিজে ১-১ এ সমতা বিরাজ করছে।
জেএন/কেকে