ফুটবলের যাবতীয় সকল কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রথম করপোরেট ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং। নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে(বাফুফে) চিঠিও দিয়েছে ক্লাবটি।
সদ্য শেষ হওয়া লিগে নিজেদের অবস্থান, হতাশা-সব বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করার জন্য আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে করার কথা ছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের। শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয় সেই সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হলেও জানা গেছে ফুটবলকে নিয়ে এগোনোর আর কোনো ইচ্ছা নেই করপোরেট সংস্থা সাইফ পাওয়ারটেকের।
ফুটবল থেকে সাইফের সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। বলেছেন, ‘প্রতিষ্ঠানের বোর্ড মিটিংয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ফুটবলে আর থাকছে না সাইফ স্পোর্টিং। আমাদের মনে হয়েছে দেশের ফুটবলে আমরা আর সেভাবে অবদানটা রাখতে পারছি না। ফুটবলকে সামনে রেখে আমরা যে পরিকল্পনায় এগিয়ে ছিলাম সেটাও ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। ব্যবসায়িক ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় ফুটবল থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত।’
ফুটবল কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় থেমে যাচ্ছে সাইফের যুব ফুটবলার তুলে আনার কার্যক্রমও। সাইফ পাওয়ারটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয় শীর্ষ আরেক দল চট্টগ্রাম আবাহনী। মনোযোগ আপাতত সেদিকেই। ফুটবল না থাকলেও দাবা ও অন্যান্য ক্রীড়া কার্যক্রম চালিয়ে যাবে সাইফ পাওয়ারটেক।
২০১৬-১৭ মৌসুমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ জয়ের পর দেশের প্রথম করপোরেট দল হিসেবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে আবির্ভাব হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের। দলের অধিনায়ক হন তারকা মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া। এরপর শিরোপা জেতার মতো দল গড়েও কখনোই শিরোপা জিততে পারেনি সাইফ। এবারের বিপিএল ফুটবলে প্রথমবারের মতো তৃতীয়স্থান অর্জনের পরও মৌসুম শেষে অধিকাংশ ফুটবলার ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় সাইফ। শিরোপার হতাশা আর খেলোয়াড় ধরে রাখতে না পারার হতাশা থেকেই শেষ পর্যন্ত হয়তো সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত দলটির।
জেএন/কেকে