শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রায় ৪০ মিনিট আটকে থাকার পর অবশেষে সরানো হয়েছে কাতার এয়ারওয়েজের প্লেনটি। প্লেনটির কারণে রানওয়ে বন্ধ থাকায় বিমানবন্দরে অবতরণ ও উড্ডয়নের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৫টি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের শিডিউল ব্যাহত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৫ মিনিটে ঢাকার রানওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সচল হয়। এর পরপরই ঢাকার আকাশে চক্কর দেওয়া ফ্লাইটগুলো অবতরণ করতে শুরু করে।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, কাতার এয়ারওয়েজের পরেই গালফ এয়ারের বাহরাইন থেকে ঢাকায় আসা ফ্লাইটটির অবতরণের কথা ছিল। তবে রানওয়ে বন্ধ থাকায় এটি ঘণ্টাখানেক গাজীপুরের চন্দ্রা ও মির্জাপুরের আকাশে চক্কর দেয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কুয়ালামপুর থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটিও টঙ্গী থেকে নারায়ণগঞ্জের আকাশে চক্কর দিতে থাকে। এছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটিও দেরিতে নেমেছে।
এদিকে রানওয়ে বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক দেরিতে ছাড়ে বিমানের মদিনা, কলকাতা, কুয়ালালামপুর, কুয়েত, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিলেট, কাতার, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাইগামী ফ্লাইট।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার কিছু পর ঢাকার রানওয়েতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ আটকে থাকায় ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। কারিগরি ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি রানওয়ে থেকে নড়তে পারছিল না।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে একটি টেকনিক্যাল ইস্যু ছিল। ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর ট্যাক্সি করতে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। যেসব ফ্লাইটের ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা, সেগুলোকে হোল্ডিংয়ে রাখা হয়েছে। রানওয়ে পরিষ্কার হলে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হবে।
এয়ারলাইন্সটির মূল সমস্যা কী ছিল, জানতে চাইলে নির্বাহী পরিচালক বলেন, তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ফ্লাইটটি নিরাপদেই অবতরণ করে। অবতরণের পর আমাদের জানায় তাদের কিছু সাপোর্ট লাগবে। আমরা সাপোর্ট দিচ্ছি।
জেএন/কেকে