ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভারতীয় ট্রান্সশিপমেন্টের ট্রায়াল জাহাজ প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। সোমবার (০৮ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি রিশাদ রাইহান পণ্য নিয়ে বন্দরের ৯ নং জেটিতে নোঙ্গর করে।
এ সময় মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ইনডার জিত সাগর, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জেটি পরিদর্শন শেষে মোংলা বন্দর সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোংলা বন্দর সূত্রে জানা যায়, মোংলা-তামাবিল এবং মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের জন্য ট্রানজিট কার্গোটি বর্তমানে মোংলা বন্দরে অবস্থান করছে। এসিএমপি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মার্কস লাইনের দুটি কন্টেইনারের মধ্যে একটি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজে ১৬.৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে আসামের জন্য ও আরেকটি কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে ৮.৫ টন প্রিফোম নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আজ একটি মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এর ফলে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষে মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি স্বাক্ষরিত হয়। চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রায়াল জাহাজের প্রথম ট্রায়াল জাহাজ মোংলা বন্দরে এলাে।
জেএন/কেকে