বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেছেন।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রম এবং এতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানেরও প্রশংসা করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক ইস্যুতে অভিন্ন স্বার্থ ভাগ করে নেয় এবং তারা ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
সিসন বাংলাদেশ-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বহুপাক্ষিক সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে, উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বহুপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জরুরি অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে অগ্রাধিকারের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সিসন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দিকে নজর দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সিসনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকট এবং সম্ভাব্য প্রত্যাবাসন, জি-৭৭ গতিশীলতা এবং ইউএনইএসসিএপি-এ বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্ব নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সিসনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সোমবার বিকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এ একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন। সেখানে টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
জেএন/কেকে