গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) হঠাৎ জারি করা প্রজ্ঞাপনে রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়। এতে অনেক ফিলিং স্টেশন সিন্ডিকেট করে পুরনো দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুত করে রাখে এবং বর্ধিত দামেই বিক্রি করে।
কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল কক্সবাজারের করিম অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন। সেখানে বর্ধিত নয়, পুরনো দামেই জ্বালানি তেল বিক্রি করে ডিপো খালি করেছেন ফিলিং স্টেশনের মালিক হুমায়ূন করিম সিকদার।
তার এমন কাজে সন্তুষ্টি এনে দিয়েছে ভোক্তাদের। এতে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর হলেও পরের দিন বিকেলে পর্যন্ত ২৫ হাজার লিটার ডিজেল ও অকটেন পুরনো দামেই বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি।
হুমায়ূন করিম সিকদার বলেন, ‘দেশে হঠাৎ অকটেন, ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ফিলিং স্টেশন সিন্ডিকেট করে পুরনো দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুত করে রাখে।
তবে আমি সেটা করিনি। কারণ আমি কম দামে তেল কিনেছি, কম দামেই বিক্রি করবো। এতে হয়তো আমার অতিরিক্ত লাভ হবে না কিন্তু ক্ষতি তো হবে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে গ্রাহকদের হয়রানি দেখে শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুরনো দামে তেল বিক্রির ঘোষণা দেই।
শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২০ হাজার লিটার ডিজেল ও ৫ হাজার লিটার অকটেন বিক্রি করে ডিপো খালি করি। ’
কায়সার হামিদ নামের এক যুবক বলেন, ‘সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিলে আমরা বাইকাররা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। শনিবার দুপুরে খবর পাই করিম এন্ড ফিলিং স্টেশনে পুরনো দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। পরে সেখানে গিয়ে তেল সংগ্রহ করি। ’
শাহাব উদ্দিন নামের আরেকজন বলেন, ‘তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর কক্সবাজারের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশন তেল বিক্রয় বন্ধ রাখে।
এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালকদের। কিন্তু করিম অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনে পুরনো দামে তেল বিক্রি করছে শুনে সেখানে গিয়ে তেল নিই। ’
জেএন/কেকে