ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) পদত্যাগ করেন। দল বদল করে নতুন জোটের নেতা হয়ে পরদিনই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নিলেন তিনি। এ নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অষ্টমবারের মতো শপথ নিলেন নীতিশ।
এদিকে শপথ নিয়েই কারও নাম উল্লেখ না করে নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালে জিতেছেন। কিন্তু, ২০২৪-এর ভোটে জিততে পারবেন তো?
বুধবার নীতিশ কুমারের শপথের মধ্যে দিয়ে বিহারে বিজেপিবিরোধী সাতদলের নতুন মহাজোট সরকারের যাত্রা শুরু হলো।
মঙ্গলবার পদত্যাগের পর বুধবার সকালে প্রথমে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে ফোন করেন নীতিশ। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় তাদের। এরপর মহাজোটে শামিল হওয়ার জন্য জেডিইউ নেতা নীতিশকে স্বাগত জানান লালু।
এসবের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতিশ কুমার আর উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী যাদবের শপথ নেওয়ার পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতিশের ডেপুটি বলেন, সারা দেশের যা করা উচিত, বিহার তা করে দেখিয়েছে। বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলোকে শেষ করে দিতে চাইছে। মহাজোট এতটাই শক্তিশালী যে বিধানসভায় বিরোধী হিসেবে একাই থাকবে বিজেপি।
এদিকে বিজেপি-জেডিইউ জোটের ভাঙনের সুর ছিল, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সরকার বদলে ফেলবেন নীতিশ কুমার, তা কল্পনাও করতে পারেনি বিজেপি। নীতিশ নতুন জোটের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে একসময় তার ডেপুটি থাকা সুশীল মোদি বলেন, দু’দিন আগেই অমিত শাহ ফোন করেছিলেন নীতিশ কুমারকে। সেই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছিলেন। শুধু অমিত শাহই নন, প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিগত দেড় বছরে একাধিকবার নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু তিনি কোনোদিনই জোট বা অন্য কোনও বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাননি।
এর আগে ২০১৫ সালেও একবার বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন নীতিশ। এরপর হাত ধরেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেসের। জেডিইউ-আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট ২০১৫সালের বিধানসভা নির্বাচনের জয়লাভ করে। মুখ্যমন্ত্রী হন নীতিশ কুমার এবং তার ডেপুটি হন তেজস্বী যাদব। যদিও সেই জোট টেকেনি। ২০১৭ সালে ফের জোট বাঁধে বিজেপি-জেডিইউ। ৫ বছর পর ফের ভাঙল জোট।
জেএন/কেকে