এবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা এসেছে শিল্প-কারখানায় সাপ্তাহিক ছুটি পরিবর্তনের। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। এলাকাভিত্তিক এসব ছুটি দেওয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) মো. নাসির উদ্দিন আহমেদের এই প্রজ্ঞাপনটি জারি করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার জন্য শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের আগামী ১১ তারিখ থেকে এলাকা ভেদে এ সাপ্তাহিক বন্ধের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪ (২) ধারার ক্ষমতাবলে নির্দেশনা ধার্য করা হলো। প্রজ্ঞাপনে সারা দেশে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন, বৈদ্যুতিক এলাকা এবং এলাকার নাম দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট বিদ্যুৎ ভবনে শিল্পকারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত বৈঠক করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখন শিল্পাঞ্চলে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর আছে। একদিনে সব এলাকায় ছুটি না দিয়ে, যদি রেশনিংয়ের মাধ্যমে একেকদিন একেক এলাকায় ছুটি চালু করা যায়, তাহলে বিদ্যুতের কিছুটা সাশ্রয় হবে।
শিল্প-কারখানায় বিদ্যুৎ রেশনিংয়ের ফলে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সরকারের এ পরিকল্পনার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে এখন থেকে দেশের একেক এলাকার শিল্পাঞ্চলগুলোতে একেক দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।
কারখানা বন্ধের দিনের সার্বিক তথ্য জানতে ক্লিক করুন www.dife.gov.bd ওয়েবসাইটে।
জেএন/পিআর