আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি এ উপলক্ষে আগামি ১৫ আগস্ট সারাদেশে আয়োজিত দেশবব্যাপী সকল অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আজ বিকেলে পুলিশ কোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ নির্দেশ দেন। সভায় সকল মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপারগণ যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও কূটনীতিকগণের যতায়তের পথে এবং অনুষ্ঠানস্থলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে।
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কেউ যেন কোন ধরনের বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেয়ার জন্যও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
তিনি বলেন, জঙ্গি ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য এবং অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইজিপি জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশি টহল জোরদার এবং বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সরব উপস্থিতি ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, জপ্রতিনিধি ও আয়োজকদের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের নির্দেশনাও দেন তিনি।
জাতীয় শোক দিবসে গণভোজে খাবার বিতরণকালে বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন আইজিপি।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এম খুরশীদ হোসেন, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খান ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/কেকে