ভোজ্য তেলের পর এবার চিনির দাম বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
গত বুধবার (১০ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ প্রস্তাব দেন সংগঠনটির মহাসচিব গোলাম রহমান।
সংগঠনটি বলছে, চিনি আমদানিতে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। তাই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। প্রস্তাবে সরকার সম্মতি না দিলে আমদানি শুল্ক মওকুফ করার দাবি জানায় রিফাইনারি মালিকরা। তবে কেজিতে কত টাকা বাড়াতে চান প্রস্তাবে সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, আগে প্রতি টন চিনির আমদানি শুল্ক ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু ডলারের দাম বাড়ায় বর্তমানে তাদের ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। পরিশোধনের পর মিল গেটে প্রতি টন চিনির দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু মিলগেটে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ হাজার ৩০০ থেকে ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকায়।
এ অবস্থায় চিনির দাম না বাড়ালে লোকসান বৃদ্ধি পেয়ে রিফাইনারিগুলো দেওলিয়া হওয়ার আশঙ্কা করেছে সংগঠনটি। তাই চিনির দাম বাড়ানো সম্ভব না হলে আমদানি মওকুফ করার দাবি জানান তারা।
এর আগে, গত ৩ আগস্ট সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
প্রস্তাবে, লিটারপ্রতি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা, বোতলজাত ২০ টাকা বাড়িয়ে ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯৬০ টাকা প্রস্তাব করা হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।
জেএন/কেকে