এখন থেকে ট্যুরিস্টসহ যেকোনো ধরনের ভিসাতেই সৌদি আরব গেলে ওমরাহ পালন করা যাবে। সেই সঙ্গে পাঁচ বছরের কম বয়সীদের জন্য মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে প্রবেশে বাড়তি কোনো অনুমতি নিতে হবে না।
দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এমন সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব তাদের নেয়া ভিশন ২০৩০ সামনে রেখে আমলাতন্ত্রকে সহজ করতে ও হজযাত্রীদের দেশটিতে আরও বেশি আকৃষ্ট করতে এমন বিভিন্ন সুবিধা দেবে।
সে কারণে চলতি বছরের ওমরাহকে সামনে রেখে, হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা, সর্বোচ্চ পরিষেবা দেয়া এবং হজের অভিজ্ঞতাকে আরও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ করতেই হজ মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিল।
দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্বের ৪৯ দেশের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসার সুবিধা দেবে তারা। দেশগুলো থেকে অনলাইনে ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, ই-ভিসার আবেদনের পর যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন তাদের সৌদি বিমানবন্দর থেকেই ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং শেনজেন ভিসাধারীরা সৌদি আরবে গিয়ে ঘোরাফেরার পাশাপাশি চাইলে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।
এমনকি যারা পরিবার ভিসাতে সৌদি যাবেন, তারাও ওমরাহ পালনের জন্য ‘ইতমারনা অ্যাপে’ ওমরাহ পালনের আবেদন করতে পারবেন।
অনুমতি ছাড়াই শিশুরা প্রবেশ করতে পারবে গ্র্যান্ড মসজিদে
কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই এখন থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। শনিবার দেশটি এমন ঘোষণা দেয়।
এক টুইটে মন্ত্রণালয় জানায়, ‘কোনো অনুমতি ছাড়াই এখন থেকে পিতামাতারা তাদের ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতর নিয়ে যেতে পারবেন।’
যদিও পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের ‘ইতমারনা অ্যাপের’ মাধ্যমে আবেদন করে পবিত্র এই স্থানটিতে প্রবেশের অনুমতি নিতে হবে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপের পর কাবা শরিফের চারপাশে প্রতিবন্ধকতা দিয়েছিল সৌদি সরকার। বাইরের দেশের জন্য বন্ধ ছিল হজ পালনও। চলতি বছর থেকে কিছুটা বড় পরিসরে আবারও হজ আয়োজন শুরু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। আর চলতি মাসের শুরুতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে কাবার সামনে দেয়া প্রতিবন্ধকতাও।
এ ছাড়া ওমরাহ ও হজকে নিরাপদ এবং হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে দেশটির হজ মন্ত্রণালয়।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাদের যে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছেন, সে সময়ের মধ্যে দেশটিতে বছরে তিন কোটি জনকে হজ ও ওমরাহ পালনের সুযোগ দিতে চান।
আর এর মাধ্যমে দেশটি বছরে ১৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করেছে।
জেএন/কেকে