রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার নিচে চাপা পড়া প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনী।
তাছাড়া দুর্ঘটনার তিন ঘণ্টা পর দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারের ওপর থেকে গার্ডারটি সরানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার পর গার্ডার সরিয়ে লাশগুলো বের করে দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহগুলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জসিমউদ্দিন মোড় সংলগ্ন সড়কে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) স্থাপনা প্রকল্পের একটি গার্ডার প্রাইভেটকারটির ওপর পড়ে।
গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ঘটনার পরপর গাড়ি থেকে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুর্ঘটনার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। তাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর প্রাইভেটকারের ওপর থেকে গার্ডারটি সরাতে পারেন তারা।
জানা গেছে, প্রাইভেটকারে একই পরিবারের সাত সদস্য ছিলেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু বেঁচে গেছেন হৃদয় ও রিয়া মনি নামের নবদম্পতি। তাদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভসের ঢাকা জোন-৩ উপসহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান বলেন, ১৫০ টন ওজনের গার্ডার হওয়ায় প্রথমে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি। পরে এস্কেভেটর আনা হয়। এস্কেভেটর আনতে দেরি হওয়ায় উদ্ধার কাজ বিলম্ব হয়।
এস্কেভেটর আনার পর সেটি দিয়ে কাত হয়ে থাকার ক্রেনটি সোজা করে সেটি দিয়েই প্রাইভেটকারের ওপর থেকে গার্ডার সরানো হয়। পরে প্রাইভেকারের ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার পর উত্তরা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, শুক্রবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তারা আজ ছেলের বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর কনে রিয়া মনির বাড়ি আশুলিয়ার খেজুরবাগানে আসরাফউদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায়।
জেএন/পিআর