চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আইনজীবীর হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার আল আমিন সিকদার এবং ক্যামেরাপারসন আসাদুজ্জামান লিমন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন(সিইউজে) সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে বক্তারা অবিলম্বে হামলা কারীদেতর আইনের আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সমাবেশে সাংবাদিক নির্যাতনকারী আইনজীবীদের গ্রেফতার ও বার কাউন্সিল সনদ বাতিলের জন্য ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রামের যে কোনও প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে আইনজীবীদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন সাংবাদিকরা। দীর্ঘদিনের এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী পরিচয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা বিশ্বাস করি, দেশবিরোধী কোনও স্বার্থের ইন্ধনে আইনজীবী পরিচয়ে সাংবাদিকদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। কারণ, জঙ্গী হামলার রায়ের ঘটনার সংবাদ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনজীবী সমিতিকে তাদের সদস্যপদ বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনদিনের মধ্যে হামলাকারীদের আইনজীবী সনদ বাতিল না করলে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলন শুরু করবে।
সমাবেশে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, সারাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর অব্যাহত হামলা দুঃখজনক। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বারবার সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। দোষীরা যাতে পার না পায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, দুই সাংবাদিকের ওপর ঠুনকো অজুহাতে দুই দফায় হামলা হয়েছে। আইনজীবী পরিচয়ে কিভাবে আদালত পাড়ায় এ বেআইনি ন্যাক্কারজনক হামলা হলো তা রহস্যজনক। কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত দশ হাজার আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। আইনজীবী সমিতিকেই দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে।
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় সাংবাদিক প্রীতম দাশের ওপর হামলার ঘটনার সপ্তাহ না যেতেই আদালত প্রাঙ্গণে আরও দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, ছবিসহ সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তা হবে দুঃখজনক। সাংবাদিক সমাজ দেশের আপামর জনসাধারণকে নিয়ে এ দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াবে।
জেএন/কেকে