গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে শিক্ষক দম্পতির লাশ উদ্ধারের একদিন পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় হত্যা মামলাটি করেন মৃত স্কুলশিক্ষকের বড় ভাই আতিকুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দলাল চৌধুরী।
ওসি বলেন, মৃত ওই স্কুলশিক্ষকের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলাটি করেছেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।
নিহতের ছোট ভাই জহুরুল ইসলাম ওয়াসীম বলেন, আমার ভাই ভাবি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তাদের সঙ্গে কারও কখনো কোনো ঝামেলা হতে দেখিনি। কিন্তু এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না। এটি একটি হত্যা। থানায় মামলা করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আসল রহস্য বের করবে।
এর আগে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দুজনের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে। এটা খাবারে বিষক্রিয়া বা অন্য কারণেও হতে পারে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেটকারের ভেতরে টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. মাহমুদা আক্তার ওরফে জলি (৩৫) দম্পতির লাশ পাওয়া যায়। মৃত দম্পতিকে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে দাফন করা হয়।
জেএন/কেকে