রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় টাকা চুরির দায়ে অভিযুক্ত সুমন শেখ (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি করেছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার পরিবার বলছে, সুমনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনার রহস্য খুঁজে বের করার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করেছে পুলিশ। থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেমায়েত হোসেন ও সিপাহি মো. জাকারিয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে হাতিরঝিল থানায় সাংবাদিকদের এমনটিই জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, ইউনিলিভার লিমিটেডের পিউরইট চাকরি করতেন। ৫৩ লাখ টাকার চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন সুমন। এ অভিযোগে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়। গতকাল সুমনের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
সুমনের শেখের আত্মহত্যার বর্ণনা দিয়ে ডিসি জানান, অভিযান শেষে আসামিকে রাতে হাতিরঝিল থানায় রাখায়। আজ সকালে রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত ৩টা ৩২ মিনিটে সুমন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এই ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।
এদিকে, সুমন শেখের (২৫) মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে হাতিরঝিল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।
সুমন শেখের মৃত্যুর বিষয়ে তার স্বজন মো. সোহেল আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুরে একটি চুরির মামলায় সুমন শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুমন রামপুরায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। আজ আমরা জানতে পারি সে থানার ভেতরে মারা গেছে।
সুমন শেখের বাড়ি নবাবগঞ্জ থানার দক্ষিণকান্দি। তিনি ইউনিলিভার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানে মালামাল ডেলিভারির কাজ করতেন। তার একটি ৬ বছরের সন্তান আছে।
জেএন/কেকে