মধ্য ইরাকের কারবালা এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২১ আগস্ট) এই দুর্যোগে একটি মাজার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। শিয়া মুসলিম মাজারটিতে ভূমিধসের ঘটনায় একজন শিশুসহ অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয়জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, কারবালা শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) দূরে পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কাতারাত আল-ইমাম-আলি মাজার। পাহাড় কেটে বানানো স্থাপনাটি ঘিরে হঠাৎই শুরু হয় ধস। তাতে অনেকেই আটকা পড়েন ধ্বংসস্তুপের নিচে।
ফায়ার ব্রিগেড এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ দিন রাত পযর্ন্ত ধ্বংস্তূপে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন উদ্ধারকর্মীরা। তখনও ধারণা করা হচ্ছিল, ধ্বংস্তূপে কেউ থাকতে পারেন।
অক্সিজেন এবং তরল খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা প্রস্তুত রেখেছে, কারবালা প্রশাসন। তবে প্রচণ্ড গরম এবং আর্দ্রতার জন্য ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে প্রায়ই পাহাড়ধসের মতো দুর্যোগে প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক প্রতিরক্ষা জেনারেল আবদেলরহমান জাওদাত গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ধসে পড়া পাথর, কাঠ এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় খনন করার পরে, আমরা পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।”
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএনএ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের ফাঁক দিয়ে আটকে পড়া কয়েকজনকে শনিবার রাতভর উদ্ধারকারী দল অক্সিজেন, খাবার ও পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা গেছে, আর্দ্রতার কারণে পাহাড়ি এলাকায় এই ভূমিধসের সূত্রপাত। পাহাড়ের মাটি ধসে মাজারের ছাদে আছড়ে পড়লে এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। সূত্র: বিবিসি
জেএন/পিআর