চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
পৃথক অভিযানে নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের কেক, বিস্কুটসহ বেকারি পণ্য উৎপাদন, বিএসটিআইয়র লাইসেন্স ও লোগোবিহীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি তেল পরিমাপে কারচুপি করায় একটি ফিলিং স্টেশনকে অর্থদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক এসব অভিযানের নের্তৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
অভিযানে বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস ও চট্টগ্রাম অফিসের কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার (সিএম) প্রকৌশলী মো. জিল্লুর রহমান এবং চন্দনাইশ থানা পুলিশের একটি টিম অংশ নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বলেন, সোমবার বিকেল থেকে উপজেলায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তিন প্রতিষ্ঠান ও এক ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা করা হয়।
এরমধ্যে বিকেলে ওজনে কারচুপির অভিযোগ পেয়ে উপজেলার গাছবাড়িয়া বুলার তালুক রাস্তার মাথা সংলগ্ন মক্কা ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালানো হয়।
ডিজেল ডিস্পেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৬০ মি.লি. কম প্রদান করায় ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে দুপুর থেকে সন্ধ্য পর্যন্ত উপজেলার পৌরসভাস্থ হারলা নয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিবন্ধন সনদ ছাড়া পণ্য মোড়কজাত করে বিক্রির অপরাধে চিটাগাং ফুড প্রডাক্টসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অপরাধে গাছবাড়িয়া উত্তর হাসিমপুর ছৈয়দাবাদ বার আউলিয়া বেকারীকে ২০ হাজার টাকা, বাগিচা হাট দিঘীরপাড় মেসার্স এ-ওয়ান ফুড প্রোডাক্টকে ২০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
জেএন/পিআর