২০১৩ সালে রাঙ্গুনিয়ার মুরাদনগরের সৈয়দ বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে সবুজ বড়ুয়া।
দীর্ঘ ১০ বছর পর আজ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফইজুল আজিম।
রায়ের আদেশে সবুজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সবুজ বড়ুয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মুরাদনগর ইউণিয়নের বাদল বড়ুয়ার সন্তান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিশেষ সরকারি কৌসুঁলি (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) নজরুল ইসলাম পিন্টু জয় নিউজ বিডিকে বলেন, ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আসামির উপস্থিতে রায় ঘোষনা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাঙ্গুনিয়ার মুরাদনগর এলাকায় ১১ বছরের এক কন্যাশিশুকে স্থানীয় বখাটে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
শিশুটির মা চট্টগ্রাম শহরে থাকলেও শিশুটি থাকতো তার মামার কাছে। ধর্ষণের বিষয়টি তার মামা-মামিকে জানালে তারা শিশুটির মাকে জানান।
পরের দিন শিশুর মা বাদী হয়ে সবুজ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৪ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
আদালত ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে। রাষ্ট্রপক্ষের ৯ জন এবং ৩ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।
জেএন/এফও