দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ৭৫২০ মেট্রিকটন চাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ১৮৮টি চালবোঝাই ভারতীয় ট্রাক। শুল্ককর কমানোর আশায় দীর্ঘ সময় ধরে ট্রাকগুলো অপেক্ষমান রেখেছে আমদানিকারকরা।
এদিকে চাম আমদানির পরও দীর্ঘ দিন তা খালাস না করায় দেশের চালের বাজারে তার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। দামে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন চালগুলো খালাস করে বাজারে ছাড়লে দাম অনেকটাই কমে যাবে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে হিলি বন্দর ঘুরে দেখা যায়, সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের ট্রাক। বর্তমান এবন্দরে চাল আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি চালের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও খালাস হচ্ছে মাত্র ১০টি ট্রাক।
জানা যায়, দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধের পর গত ২৩ জুলাই থেকে ২৫% শুল্ককরে চাল আমদানির অনুমতি (আইপি) দেন সরকার। এই বন্দরে ১০ জন আমদানিকারক ৩০ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির পারমিট পাই। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে তা লোকসানের দিকে।
চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, হিলি বন্দরে চাল আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও তার প্রভাব পড়েনি বাজারে। বরং চালের দাম আরও বেড়ে গেছে।
ডলারের দাম বৃদ্ধি আর সরকারি শুল্ককর কমানোর অজুহাতে আমদানিকারকরা চালগুলো বন্দর থেকে খালাস করছেন না। তবে যদি তারা চালগুলো বাজারজাত করেন তাহলে আশা করা যায় চালের দাম অনেকটাই কমে যাবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকরা চাল আমদানি করে লোকসানে পড়ছেন। এই জন্যই শুল্ককর কমানোর আশায় ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল বোঝায় ট্রাকগুলো খালাস করছেন না তারা।
তিনি আরও জানান, সরকার যদি চালের উপর ২৫% শুল্ক তুলে নেন, তাহলে বন্দর অভ্যন্তরে যেসব চালের গাড়িগুলো অবস্থান করছে সেগুলো খালাস করবেন আমদানিকারকরা।
এছাড়াও ভারত থেকে চালের আমদানি আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে দেশের বাজারে চালের দাম কমে যাবে।
জেএন/পিআর