চট্টগ্রামে ফের শুরু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ল্যাবে অভিযান। সোমবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিক, ফেয়ার হেলথ, হেলথ হোমসহ কয়েকটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পান তারা। এসময় চট্টেশ্বরীর দেশ হাসপাতালে লাইসেন্স না থাকায় ও অপারেশন থিয়েটারে সনদবিহীন নার্স দায়িত্ব পালন করায় হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন সিভিল সার্জন। এছাড়া নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় হেলথ হোম ও ফেয়ার হেলথ নামে নামে দুটি ক্লিনিককে সতর্ক করে ৭ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাদেরকে কাগজপত্র আপডেট করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়ার পর আজ অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। লাইসেন্স না থাকায় ও অপারেশন থিয়েটারে সনদবিহীন নার্স দায়িত্ব পালন করায় চট্টেশ্বরীর দেশ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ ৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছি। এই ধরনের অভিযান আরও তিনদিন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভা ও চাম্বল বাজারে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বাঁশখলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় লাইসেন্স না থাকায় ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিনি ল্যাব, মামনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ন্যাশনাল হাসপাতাল (প্রা.) লি., জেনারেল হাসপাতাল চাম্বলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে গত মে মাসে এক সপ্তাহের অভিযানে ১৫টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে সাতটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল।
জেএন/কেকে