নগরে বন্দর থানার এক কেজি গাঁজার মাদকের মামলার অভিযোগ গঠনের দিন দুই আসামি দোষ স্বীকার করায় কারাদণ্ডের পরিবর্তে এক বছর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময় দুটি এতিমখানায় বাংলা অনুবাদসহ দুটি কুরআন শরিফ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মুক্তি পাওয়া দুজন আব্দুর রহিম (৩০) ও মোহাম্মদ হোসেন (৪২)।
সোমবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোহাম্মদ রায়হাদ চৌধুরী (রনি)।
তিনি বলেন, গত ২২ মে বন্দর থানার পোর্ট কলোনি ১ নম্বর রোডের নতুন মার্কেট জামে মসজিদের সামনে থেকে এক কেজি গাঁজাসহ মোহাম্মদ হোসেন ও আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গাঁজা জব্দের মামলায় দুই আসামির বিরুদ্ধে সোমবার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত হয়ে দুই আসামি দোষ স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, এই সময় আদালত দুই আসামিকে এক বছর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার ও দুটি এতিমখানায় দুজনকে বাংলা অনুবাদসহ দুটি কুরআন শরিফ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। পরে তাদের মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করেছেন। আদালত সবকিছু পর্যালোচনা করে এ রায় দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গেল ২২ মে গাঁজাসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে দুজনের নামে মামলা দায়ের করেন। গত ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াছিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সোমবার অভিযোগপত্র গঠনের দিন ছিল।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় দে বলেন, দুই আসামির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা ছিল না। আদালতে দোষ স্বীকার করায় অতীতে কোনো ধরনের মামলা না থাকায় সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন। আদালতের দেওয়া আদেশে আমরা সন্তুষ্ট।
আসামি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আদালতের আদেশে আমরা দুইজনই সন্তুষ্ট। আমরা আদেশ মেনে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব। এতিমখানায় কুরআন শরিফ দিয়ে দেব। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকার সময় অনেক কষ্ট হয়েছিল। এখন সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করব।
জেএন/কেকে