আদালতের আদেশ অমান্য করায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ওরফে ডলফিন ও সচিব আনোয়ার পাশাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন চট্টগ্রাম প্রথম শ্রম আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালত মো. তৌফিক আজিজ এ আদেশ দেন। অপর তিন আসামি হলেন সিডিএর উপ সচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এবং সিডিএর অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ বৈধ ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমের কারণে সিডিএ উচ্চমান সহকারী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে অপসারণ (টারমিনেশন) অর্থ্যাৎ চাকরিচ্যুত করা হয়।
চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতে ২০১৪ সালের ১ জুন মামলা দায়ের করেন হাবিবুর রহমান। এরপর গত ২৪ জুলাই ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ অপসারণ (টারমিনেশন) আদেশ বাতিল করে আদালত রায় দেন।
রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে হাবিবুর রহমানের সকল বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান পূর্বক স্বপদে ও সবেতনে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।
গত ২৮ জুলাই রায়ের অনুলিপি সংগ্রহ করে হাবিবুর রহমান সশরীরে সিডিএতে গিয়ে চাকরিতে যোগদানপত্র দাখিল করেন। একই তারিখে যোগদানপত্র যথানিয়মে রেজি: ডাকযোগেও প্রেরণ করা হয়।
গত ৩ আগস্ট পুনরায় যোগদানের জন্য মানবিক আবেদন ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। ৫ জনই একে অপরের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল করেননি। যা আদালতের রায়ের প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা।
আদালত অবমাননা করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আসামি পাঁচজন পরস্পরের যোগসাজশে হাবিবুর রহমানকে যোগদান না করে, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করা, মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
আদালতে রায়-আদেশ অমান্য করার অভিযোগে শ্রম আইন ২০০৬ সালের ২৮৩, ২৯২, ২৯৩, ৩০৩ এবং ৩০৭ ধারা অনুসারে গত ৩১ আগস্ট মামলা করেন হাবিবুর রহমান। মামলাটি আদালত গ্রহণ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সুখময় চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। সমন কোতোয়ালী থানায় পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে পাঁচজনকে জামিন নিতে বলা হয়েছে।
জেএন/পিআর