‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করেছে শ্রীলঙ্কা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষপর্যন্ত লড়াই করে হেরে যাওয়ায় টাইগাররা বিদায় নিয়েছে এশিয়া কাপ থেকে। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়া প্রথম দলও বাংলাদেশ।
দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান জড়ো করে টাইগাররা। নিয়মিত কোনো ওপেনার নন, এই ম্যাচে ইনিংসের সূচনা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। সাব্বিরকে হারালেও পাওয়ারপ্লেতে আসে ৫৫ রান।
সাজঘরে ফেরার আগে ২৬ বলে ৩৮ রান করেন মিরাজ। সাকিব আল হাসান ২২ বলে ২৪ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ২৭ রান করেন। বাংলাদেশ বড় পুঁজি পায় আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটে ভর করে।
আফিফ ২২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। ৯ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ক্যামিও খেলেন মোসাদ্দেক, হাঁকান ৪টি চার। তাসকিন ৬ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই কুশল মেন্ডিস জীবন পান মুশফিকুর রহিম সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলে। এরপর দুটি ক্যাচ ও একটি রানআউটের হাত থেকে বেঁচে যান মোট ৪ বার জীবন পাওয়া কুশল।
ফলে উইকেটে থিতু হয়ে চড়াও হন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। দলীয় ৭৭ রানের মধ্যে পাথুম নিসাঙ্কা, চারিথ আসালঙ্কা, দানুশকা গুনাথিলাকা ও ভানুকা রাজাপক্ষেকে শিকার করলেও ৩২ বলে কুশল তুলে নেন অর্ধশতক। ১৩১ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৬০ রান করেন, যা শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে।
অধিনায়ক দাসুন শানাকা রানের গতি সচল রাখেন। ১৮তম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দিলে থামে ৩৩ বলে গড়া তার ৪৫ রানের ইনিংস। তখন ১৩ বলে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। এবাদত হোসেনের করা ১৯তম ওভারে আসে ১৭ রান। ৩ উইকেট শিকার করা এবাদত বিলি করেন ৫১ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান। স্লো ওভার রেটের কারণে সেই ওভারে ৫ জনের বদলে ৪ জন ফিল্ডার রাখতে হয়েছে ৩০ গজের বাইরে। চতুর্থ বলে শেখ মেহেদী হাসান নো বল করলে লঙ্কানরা লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৪ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখেই।
জেএন/কেকে