মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সেন্সর নীতিমালা জটিলতায় আটকে আছে। প্রায় তিন বছর ধরে সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে না ছবিটি। ২০১৯ সালে ‘শনিবার বিকেল’ মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪১তম আসরে দুটি পুরস্কার পায় ছবিটি। এছাড়া স্থান পেয়েছে বুসান ও সিডনি উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনেও। কেবল বাংলাদেশেই মুক্তি পাচ্ছে না ছবিটি।
সেন্সর জটিলতা কাটিয়ে ছবিটি মুক্তি দিতে সরব হয়েছেন চলচ্চিত্র-নাট্য পরিচালক, অভিনেতা ও কলাকুশলীরা। সিনেমাটির সেন্সর ছাড়পত্রসহ মুক্তি নিয়ে সরব হয়েছেন। কথা বলেছেন স্বয়ং তথ্যমন্ত্রীও। তাতেও সেন্সর ছাড়পত্র নিয়ে কোনো অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। আর এ নিয়েই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ‘শনিবার বিকেল’ এর পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শুক্রবার সকালে ফেসবুকে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তিনি।স্ট্যাটাসে ফারুকী লিখেছেন, আপনারা দেখছেন আমি কতোটা নিয়ন্ত্রণ করছি আমার আবেগ। এমনকি এবসোলিউট বুলশিটের উত্তরও না দিয়া কনফ্লিক্ট এড়াইয়া গেছি।
কিন্তু আজকে সকালে একটা খবর পড়ে, যদিও খবরটা আগে থেকেই জানতাম, আমার রাগ, ক্ষোভ, অভিমান আর নিয়ন্ত্রন করতে পারলাম না!হোলি আর্টিজানের উপর নির্মিত ভারতীয় ছবি “ফারাজ” দ্রুতই মুক্তি পাবে। আমার ভারতীয় ফেলো ফিল্মমেকার হানসাল মেহতার জন্য আমি আনন্দিত যে সে তার ছবিটা শেষ করে মুক্তি দিতে পারছে। হয়তো দ্রুতই আপনারাও সেটা দেখতে পারবেন।
একই সঙ্গে আমি একজন বাংলাদেশি ফিল্মমেকার হিসেবে অনুতপ্ত, ক্ষুব্ধ, বিরক্ত! আমার ছবিতে কোথাও হোলি আর্টিজান মেনশন করা নাই, আমার ছবিতে হোলি আর্টিজানের কোনো রিয়াল ক্যারেক্টার পোর্ট্রে করা হয় নাই, তারপরও স্রেফ এই দেশের হতভাগা ফিল্মমেকার হওয়ার অপরাধে আমার ছবিটাকে সাড়ে তিন বছর আটকে রাখা হইলো।
আমি কাকে অভিসম্পাত দিবো? কাকে? কাকে? নিজের জন্মকে তো আর অভিসম্পাত দেয়া যায় না।
জেএন/কেকে