চট্টগ্রাম নগরের ২১টি স্পটকে ‘নীরব এলাকা’ বা নো হর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ।
আজ শনিবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার বন্ধ ও চট্টগ্রামের ২১টি স্পটকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার দাবীতে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বিএইচআরএফ চটগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আইনবিদ জিয়া হাবীব আহ্সান সভাপতিত্ব করেন।
মাহামুদুর রহমান শাওনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রেখেছেন প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী এড. সুনীল কুমার সরকার, চট্টগ্রাম জেলা বার এসোসিয়েশনের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এড. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ট্রেজারার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এডভোকেট খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, মানবাধিকার নেতা এড. গোলাম মাওলা মুরাদ, শব্দ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে আলোড়ন সৃষ্টিকারী পরিবেশ কর্মী সুজন বড়ুয়া, মিরশ্বরাই বিএইচআরএফ সভাপতি সাংবাদিক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, প্রতিবন্ধীদের সংগঠন সি.ডি.সি-র প্রধান নির্বাহী লুৎফুন্নাহার রূপসা ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. জসীম উদ্দিন ও মানব বন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আহ্সান হাবীব বাবু, বিএইচআরএফ বাঁশখালীর সভাপতি নুরুল আবসার, বিশিষ্ট সমাজকর্মী চট্টগ্রাম বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী লায়লা ইব্রাহিম বানু প্রমূখ।
শব্দ সন্ত্রাস বন্ধের পাশাপাশি চট্টগ্রামের টাইগারপাস, বাটালি হিল, জিলাপি পাহাড়, কোর্ট হিল এলাকা, সি.আর.বি, ডিসি হিল, সার্সন রোড, জাম্বুরী ফিল্ড, ফয়েজ লেক, বায়েজিদ লিংক রোড, ওমেন ভার্সিটি এলাকা, সি.বিচ এলাকা, ঝাউতলা, নাসিরাবাদ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, গোলপাহাড়, প্রবর্তক, চট্টশ্বরী, মেহেদীবাগ, ও.আর নিজাম রোড, এম.এম আলী রোড, কে.বি ফজলুল কাদের রোড প্রভৃতি এলাকাকে হর্ণ মুক্ত ‘নিরব এলাকা’ (নো হর্ণ স্পট) ঘোষণার জানানো হয়।
যেসব এলাকা জুড়ে অনেকগুলো হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় প্রয়োজন রয়েছে বিধায় ঐসব এলাকাকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন নিরবএলাকা ঘোষণারও দাবী জানানো হয়।
জেএন/এফও/কেকে