এশিয়া কাপের সুপার ফোরের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতকে হারের স্বাদ দিয়েছে পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হারলেও সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ৫ ওভারেই ভারত জড়ো করে ফেলে ৫০ রান। দলীয় ৫৪ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ২৮ রান করেন রোহিত। পাওয়ারপ্লেতে আসে ৬২ রান। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরপরই অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় আরেক ওপেনার রাহুলকে, যিনি ২৮ রান করেছেন ২০ বলের মোকাবেলায়।
তাদের সাজঘরে ফেরানো গেলেও পাকিস্তানের বোলিংয়ে শৃঙ্খলা আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে অধিনায়ক বাবর আজমকে। ওয়ান ডাউনে নামা বিরাট কোহলি এদিন শুরু থেকেই ছিলেন ছন্দে। অপর প্রান্তে অবশ্য তেমন সমর্থন পাননি। সূর্যকুমার যাদব ১০ বলে ১৩, রিশভ পান্ট ১২ বলে ১৪ ও দীপক হুদা ১৪ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ডাক এর শিকার হন আগের ম্যাচের বিশ্রাম শেষে একাদশে ফেরা হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে স্ট্রাইক দিতে চাননি কোহলি। বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন সিঙ্গেলসের সুযোগ। প্রথম ৩ বল তাই ডট হয়। চতুর্থ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হলে থামে ৪৪ বলে গড়া তার ৬০ রানের ইনিংস। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতক পেলেও শেষ ওভারে কোহলির ভূমিকা নাখোশ করেছে সমর্থকদের। শেষ ২ বলে ২টি চার হাঁকিয়ে ভারতকে ১৮১ রানের পুঁজি এনে দেন রবি বিষ্ণই, ৭ উইকেটের বিনিময়ে। পাকিস্তানের পক্ষে শাদাব খান দুটি এবং নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয় ধীর গতিতে। এই ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি বাবর আজম। ফখর জামানও ছিলেন খোলসবন্দী। ৯ ওভারের মধ্যেই ১০ বলে ১৪ রান করে বাবর ও ১৮ বলে ১৫ রান করা ফখর সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
রিজওয়ান একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন দেখেশুনে। চারে নামান হয় মোহাম্মদ নওয়াজকে। পাকিস্তানের বাজির ঘোড়া হয়ে তিনি মোড় ঘুরিয়ে দেন। মাত্র ২০ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রান করে সাজঘরে ফিরলেও দলকে রেখে যান ভালো অবস্থানে। টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে রিজওয়ান সাজঘরে ফেরেন ৫১ বলে ৭১ রান করে, হাঁকান ৬টি চার ও ২টি ছক্কা।
শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। ১৯তম ওভারেই চলে আসে ১৯ রান। শেষ ওভারে ধীর বোলিংয়ে একজন ফিল্ডার ছিলেন ৩০ গজের ভেতরে। ১৮তম ওভারে ক্যাচ হাতছাড়া করা আরশদীপের হাতে শেষ ওভারে বল তুলে দেওয়া হয়। তবে তিনি জেতাতে পারেননি দলকে। পাকিস্তান ১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। খুশদিল শাহ ১১ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮ বলে ১৬ রান করেন আসিফ আলী।
জেএন/কেকে