খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সচিবালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি আজ এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম এবং ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন এবং মিয়ানমার থেকে ২ লাখ টন চাল আমদানি করব। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ মজুত আছে আমাদের। ফলে দাম কমতির দিকে রয়েছে। সামনে আরও কমে যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে আমরা আরও চাল কিনব। এই অর্থবছরে ১০ লাখ টনের বেশি চাল আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে। এ বছর জলবায়ু পরিস্থিতি খারাপ হলে আমন সংগ্রহ কম হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, তবে আমাদের গম নিয়ে যে সংকট ছিল, সেটা কেটে গেছে। আমাদের বছরে ৭ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন আসবে, পাইপ লাইনে রয়েছে এক লাখ টন এবং গুদামে মজুত আছে এক লাখ ৩০ হাজার টন গম।
তিনি বলেন, আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকার কারণে ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করি কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, নন-বাসমতি মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ টন সিদ্ধ ও ৩০ হাজার টন আতপ মিলে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। এক লাখ টন ভারত থেকে চাল কেনা হবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আনার জন্য ইতোমধ্যে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এরপর চুক্তি হয়েছে। আজকালের মধ্যে হয়তো এলসিও হয়ে যাবে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে আরও ২ লাখ টন চাল আনার প্রস্তাব আগামীকাল ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে।’
জয়নিউজ/পিডি