সুপার ফোরের তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নেওয়া লঙ্কানরা ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয় নিশ্চিত করে ম্যাচের শেষ ওভারে। নাটকীয় ম্যাচে হার বরণ করায় ভারতের ফাইনাল খেলা পড়ে গেছে অনিশ্চয়তার মুখে। সেই সাথে ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার সম্ভাবনাও কমে গেছে।
দুবাইয়ে এদিনও টস ভাগ্য ভারতের পক্ষে আসেনি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান জড়ো রোহিত শর্মার দল। যদিও যেভাবে মারকুটে সূচনা এনে দিয়েছিলেন রোহিত, তাতে ২০০ রানের স্বপ্ন দেখছিল ভারত।
শুরুতেই অবশ্য জোড়া উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ৭ বলে ৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন লোকেশ রাহুল। বিরাট কোহলি টানা দুটি অর্ধশতক পেলেও এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এরপর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দেখেশুনে খেলে যাচ্ছিলেন রোহিত। রোহিত অর্ধশতকের দেখা পেলেও সূর্যকুমার ছিলেন মলিন। ৫টি চার ও ৪ টি ছক্কায় ৪১ বলে ৭২ রান করে রোহিত বিদায় নেওয়ার পর ২৯ বলে ৩৪ রান করা সূর্যকুমারও ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও রিশভ পান্টের পৃথক ১৩ বলে ১৭ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৭ বলে ১৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৭৩ রানের পুঁজি জড়ো করে ভারত, ৮ উইকেট হারিয়ে। দীপক হুদা নো বল ও ফ্রি হিট পেয়েও ৪ বলে করেন সাকুল্যে ৩ রান। লঙ্কানদের পক্ষে দিলশান মাদুশঙ্কা তিনটি এবং চামিকা করুনারত্নে ও দাসুন শানাকা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় লঙ্কানরা। দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস ১১ ওভারেই এনে দেন ৯৭ রান। তবে দ্বাদশ ওভারে দুজনই সাজঘরে ফেরেন দলীয় রান একশ ছোঁয়ার আগেই। নিসাঙ্কা ৩৭ বলে ৫২ ও মেন্ডিস ৩৭ বলে ৫৭ রান করেন। এই দুই উইকেট শিকারের পর ম্যাচে ফেরে ভারত। চারিথ আসালঙ্কা শূন্য ও দানুশকা গুনাথিলাকা ১ রানে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ১১০ রানে ৪ উইকেটের পতন ঘটিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ভারত।
তবে দারুণ ফর্মে থাকা ভানুকা রাজাপক্ষে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা শ্রীলঙ্কাকে আশাহত হতে দেননি। পঞ্চম উইকেটে ৬৪ রানের অনবদ্য জুটিতে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ১ বল বাকি থাকতে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। আরশদীপ সিং দারুণ বল করলেও দলকে জেতাতে পারেননি।
জেএন/কেকে