চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে সিএমপির অবস্থান জিরো টলারেন্স। যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার প্রশ্ন আসে কিংবা সাম্প্রদায়িক হামলার প্রশ্ন আসে বা সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার প্রশ্ন আসে তখন বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স, সিএমপিও জিরো টলারেন্স। এ বছরের দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নেতিবাচক গোয়েন্দা তথ্য নেই বলেও জানান তিনি।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সের মাল্টিপারপাস শেডে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবার সম্বন্বয়ের মধ্যেই ভালো একটি পূজা উদযাপন করা যাবে। শারদীয় দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োগের পাশাপাশি চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যেখানে যত পুলিশ দরকার সেখানে সেই পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আসছে দুর্গাপূজায় আয়োজক কমিটির বাইরে প্রত্যেক থানা ভিত্তিক একটি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হবে। এতে ওই থানার রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় নেতাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকবেন৷ পুলিশের সমন্বয়ে এই থানাভিত্তিক শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হবে। এরই মধ্যে এই কমিটি অনেক জায়গায় হয়ে গেছে, অনেক জায়গায় হচ্ছে। এছাড়া মণ্ডপ ভিত্তিক কমিটি করতে বলা হয়েছে। মণ্ডপ ভিত্তিক কমিটির সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন বিট অফিসাররা। আর থানা ভিত্তিক শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক থাকবেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, যেখানে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছি। প্রতিমা ভাঙচুর করলে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এরপর মামলাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বছর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। এসব মামলায় যারা জামিনে এসেছেন, তারা নজরদারির মধ্যে আছেন।
এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/কেকে