চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় বিরোধপূর্ণ একটি জায়গা দখলে নিতে জায়গার মালিকসহ তাঁর আত্মীয় স্বজনদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া জায়গাটি নিয়ে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও থানার সহায়তায় জায়গাটি দখলের অভিযোগ করেছেন এস এম আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১৪নং রোডের খতিববাড়ি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় খরিদদারসূত্রে আবুল কাশেমের একটি জায়গা রয়েছে। আবুল কাশেমের অভিযোগ, জায়গাটির উপর লুলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় মাহবুবুল আলমের। সে কয়েক বছর ধরে ভুয়া দলিল দেখিয়ে জায়গা দখল করার পায়তারা শুরু করে। এ বিষয়ে ২০২১ সালে চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি অপর মোকাদ্দমা মামলা দায়ের করি। যার নাম্বার নং-২৩৮/২১। ওই মামলায় আদালত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর চান্দঁগাও থানার এসআই আবদুল মোনাফ উভয় পক্ষকে ডেকে জায়গাটি নিয়ে আদালতের ১৪৫ ধারা মানার নির্দেশ দেন।
আবুল কাশেমের অভিযোগ, ৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আবুল কাশেমের মালিকানাধীন জায়গার ভাড়াটিয়াদের জোর করে বের করে দিয়ে মাহবুবুল আলম ও তার ৬০-৭০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের মধ্যেই জায়গা দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করেন। এসময় আমার জায়গার কেয়ারটেকার ও দারোয়ানকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। তাদের সাজানো মিথ্যা মামলায় আমিসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০জনকে আসামি করে একটি চুরির মামলা (যার নাম্বার-৮(৯) ২২) দায়ের করেন।
গ্রেফতার কেয়াটেকার মোছাম্মৎ শানুর মেয়ে সাদিয়া জানান, সোমবার রাতে আমরা বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুমের মধ্যেই অতর্কিতভাবে মাহবুবুল আলম তার দলবল নিয়ে আমাদের বাসায় হামলা করে, আমার মাকে মারধর করে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে আবুল কাশেম বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চান্দগাঁও থানায় মাহবুবুল আলম জায়গা দখল করে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার জায়গার কেয়ারটেকার, দারোয়ানদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও থানায় সেই অভিযোগটি আমলে নেয়নি। উল্টো পুলিশ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে লাঠিয়ালের ভূমিকায় থেকে মাহবুবুল আলমকে জবরদখলে সহযোগিতা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জবর দখলকারী মাহাবুবগংদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম আবুল কাশেমের লিগ্যাল অফিসার আদনান আল রাইছি, নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ সেলিম, এস এম জসিম উদ্দিন, ফয়সল উদ্দিন।
জেএন/এফও/কেকে