নিহত গৃহপরিচারিকা সাহিদা বেগম (২৫) এর গ্রামের বাড়ি সীতাকুণ্ড পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পন্থিছিলা এলাকার মহাদেবপুর গ্রামে এলেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে নিহত সাহিদা বেগমের পরিবারকে দেখতে এসে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন এ দম্পতি। এসময় সাহিদা বেগমের বোন ও মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আকরাম খানের স্ত্রী সাবিনা আকরাম।
সন্তানহারা কৃষক পিতা নাদেরুজ্জামানকেও যেন সান্তনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র পরিচালক মো. আকরাম খান।
আকরাম খান সাহিদার মা,বাবাকে বলেন, “সাহিদা ছিল আমার মেয়ের মতো। আমরা কখনো তাকে গৃহ পরিচারিকার চোখে দেখিনি। সে ছিল আমাদের পরিবারের একজন। আল্লাহর ইচ্ছায় হয়তো সে চলে গেছে। কিন্তু সে মারা যাওয়ার পর থেকে আমার স্ত্রী ও মেয়ে এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে।
“যতদিন বেঁচে থাকব তাদের পরিবারের পাশে থাকব ইনশাল্লাহ। সে বেঁচে থাকতে যেভাবে সহায়তা করতাম মারা যাওয়ার পরও একইভাবে পরিবারের পাশে থাকব।”
এর আগে গত ২৮ আগষ্ট রবিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস তিন নম্বর রোডের দুটি ভবনের মাঝখানে পড়ে থাকা অবস্থায় তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য মরদেহ নেয়া সীতাকুণ্ডে। এ ঘটনায় সাহিদার ভাই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
কাফরুল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে ডিওএইচএস তিন নম্বর রোডের দুটি ভবনের মাঝে নিচে পড়েছিল সাহিদার নিথর দেহ। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ছয়তলা ভবনের পাঁচ ও ছয়তলা ডুপ্লেক্স বাসায় থাকেন আকরাম খান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছয়তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে মারা যান সাহিদা। মরদেহ বাসার পেছনে পাওয়া যায়। পেছনেও আরেকটি ভবন আছে। অর্থাৎ, দুই ভবনের মাঝে পড়েছিল মরদেহ।
উল্লেখ্য, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক আকরাম খানের বাসায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে গৃহপরিচারিকা হিসেবে থাকতেন সীতাকুণ্ডের সাহিদা বেগম।
জেএন/পিআর/কেকে