ডিম-মুরগি ও সবজির দাম বেড়েছে

নিত্যপণ্যের বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ডিম,মুরগি ও সবজির দাম। ৫০ টাকার নিচে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো সবজি মিলছে না। খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে চালের দাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজারে এসে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

- Advertisement -

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

- Advertisement -google news follower

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শসার দাম ৮০ টাকা। পটল, ঢেঁড়স ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা ও বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শিম, টমেটো ও গাজর। ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি দরে এবং লাউ আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা এবং পেঁপে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলার ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

- Advertisement -islamibank

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা, কক ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। এ ছাড়া গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দাম বাড়ায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বাজারে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের দাম কিছুটা বেড়ে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা এবং কৈ মাছ কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিংড়ির দাম পড়ছে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। এক কেজির একটি ইলিশের দাম পড়ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা।

সরকারি সংস্থা টিসিবি বলছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর গত এক মাসের ব্যবধানে চাল, চিনি, মসুর ডাল, শুকনা মরিচ, আদা, জিরা, লবঙ্গ, এলাচ, ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, গুঁড়াদুধ, লবণসহ ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে।

সাবান, টুথপেস্ট, নারিকেল তেলসহ বিভিন্ন প্রসাধনীর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত। আগে আধা কেজির যে ডিটারজেন্টের দাম ছিল ৬০ টাকা, সেটি এখন ৯০ টাকা। ৫২ টাকার সাবানের দামও এখন ৭৫ টাকা হয়েছে। যদিও এসব পণ্যের দামের ওঠা-নামার হিসাব টিসিবির কাছে থাকে না।

টিসিবি বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শুকনা মরিচের দাম। গত মাসে যে মরিচের দাম ছিল ৩০০-৩৩০ টাকা, সেটা এখন ৩৫০-৪৫০ টাকা। অন্যদিকে একই সময়ে খোলা আটার দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৪৭-৫২ টাকায় ঠেকেছে। যদিও এ সময়ে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।

যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি হলেও কমার তালিকায় থাকা তিনটি পণ্যের (আলু, মুগডাল, মুরগি) দাম কমার হার যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ৬ দশমিক ১২ এবং ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে সে হারে কমছে না।

এসব বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, দেশে কোনো পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ে সেটি পরবর্তীসময়ে সেভাবে সমন্বয় হয় না। দাম কমলেও সেটা বাজারে বাস্তবায়ন করতে চান না কোম্পানি বা বিক্রেতা কেউই।

জেএন/কেকে

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM