চাল রপ্তানি বন্ধ না করলেও রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। আজ শুক্রবার থেকেই এই শুল্ক কার্যকর হবে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন।
হিলি বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম বলেন, এত দিন শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে চাল রপ্তানি করে আসছিল ভারত। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নতুন এই শুল্ক শুক্রবার থেকেই কার্যকর বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পত্র দিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি দিলে গত ২৩ জুলাই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেন। ২৮ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে চালের আমদানি যেমন বেড়েছে তেমনি দাম কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা করে দাম কমে আসছিল। কিন্তু এর মধ্যেই ভারত সরকার নতুন ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভারত এভাবে শুল্ক আরোপ করায় আবারও চালের দাম বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা চলছে। নতুন এই শুল্ক আরোপের ফলে চালের দাম কেমন বাড়বে তাতে আমদানিতে কেমন প্রভাব পড়বে। এর ওপর চাল আমদানি নির্ভর করবে। আজ সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরু হলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
জেএন/কেকে