চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির তদারককারী কর্মকর্তা নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আলী হোসেন।
তিনি বলেন, রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) পরিদর্শক মোক্তার হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ অক্টোবর এই আদালতে অভিযোগপত্রটি যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে এটি গ্রহণের শুনানির জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগ উল্লেখ করে ২০১৮ সালের ১৭ মে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান তানভীর বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সেটিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ এটির তদন্ত শুরু করে। পরে ডিবি পুলিশ তদন্ত করে।
জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল জার্নাল অব হিউম্যান সোশ্যাল সাইয়েন্স: সোসিওলজি অ্যান্ড কালচার নামে এক জার্নালে ‘রিলিজিয়াস পলিটিক্স অ্যান্ড কমিউনাল হারমনি ইন বাংলাদেশ: এ রিসেন্ট ইমপাস’ শিরোনামে আনোয়ার হোসেনের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এ প্রবন্ধ জমা দিয়ে ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল আনোয়ার হোসেন বিভাগীয় সভাপতি বরাবরে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির আবেদন করেন। এতে তিনি ওই প্রবন্ধ সংযুক্ত করেন। এরপর ওই প্রবন্ধে প্রকাশিত বিভিন্ন ‘বিতর্কিত’ বিষয় নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে দায়ের করা মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, প্রকাশিত প্রবন্ধে একাধিকবার শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হলেও একবারও জাতির জনক কিংবা বঙ্গবন্ধু শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। এতে জাতির জনকের প্রতি আনোয়ার হোসেনের তাচ্ছিল্য প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রবন্ধে।
জেএন/কেকে