মাত্র তিনটি স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি মোবাইলের জন্য প্রাণটাই কেড়ে নিলো প্রতিবেশী কিবরিয়া। গৃহবধূ শামীমাকে মাত্র ৫/৬ মিনিটের মধ্যে গলাটিপে হত্যার পর হাত পা বেঁধে রাখে। নির্মম এ খুনের পর নিজের উপর প্রশাসনের সন্দেহ এড়াতে পালিয়ে যাননি তিনি। অবশেষে পুলিশের হাত কড়া পড়তো হলো তাকে।
১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ইপিজেড থানার তক্তার পুল এলাকার ফয়েজ বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার ভাড়া বাসা থেকে শামীমা আক্তার নামের ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশে (বিজিবি) কর্মরত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী।
চট্টগ্রাম নগর চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, ক্লু-লেস ঘটনাটি নিয়ে আমরা কাজ করে অল্প সময়ের মধ্যে ঘাতক কিবরিয়াকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।
কিবরিয়ার উদ্বৃত্তি দিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, কিবরিয়া শনিবার গভীররাত রাত ২টার পর ভিকটিম শামীমার দরজায় নক দেন। কিবরিয়া পূর্ব পরিচিত ও পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া হওয়ায় শামীমা রুমের দরজা খোলেন। রুমে প্রবেশ করেই কিবরিয়া তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তিনটি স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি মোবাইল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যান।’
তিনি জানান, ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে এটি হত্যাকাণ্ড জানিয়ে ওইদিনই তদন্ত শুরু করে ইপিজেড থানা পুলিশ। তাছাড়া এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আজম বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আজ গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেএন/এফও/কেকে