মোংলা বন্দরের ইতিহাসে এই প্রথম সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমসিসি টোকিও বন্দর জেটিতে ভিড়েছে। আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে চীন থেকে আসা এ জাহাজটি বন্দরের পাঁচ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়েছে কন্টেইনার খালাসের প্রক্রিয়া।
বিদেশি এ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গত ২৫ আগস্ট চীনের সাংহাই বন্দর থেকে কন্টেইনার বোঝাই করে এ জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর তাইওয়ান ও মালয়েশিয়া হয়ে আজ দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়ে। ১৮৬ মিটার লম্বা এ জাহাজটির গভীরতা আট মিটার। জাহাজটি বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ। এ জাহাজটিতে সাত হাজার ২৪১ মেট্রিকটন ওজনের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ২৮৯টি কন্টেইনার এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৫০ সালের ১১ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরের যাত্রা শুরু হলেও মূলত ১৯৮৫ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আগমন ও কন্টেইনার পণ্য বোঝাই ও খালাস শুরু হয়। কিন্তু আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ এর আগে কোনোদিন বন্দরের নিজস্ব জেটিতে ভিড়েনি। আর আগে যা এসেছে তার সবই ছিল সাত মিটার গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনার জাহাজ। বন্দর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ড্রাফটের জাহাজই হলো এম ভি এমসিসি টোকিও। এ জাহাজটিতে আসা আমদানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনারটি খালাস শেষে বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনার নিয়ে বুধবার আবারও চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।’
শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বন্দর চ্যানেলের আউটারবারের ড্রেজিং সম্পন্ন ও ইনারবারে ড্রেজিং চলার কারণেই আট মিটার গভীরতার এ জাহাজটি সরাসরি বন্দর জেটিতে আসতে পেরেছে। এটা বন্দরের জন্য একটা ইতিহাস ও বিশাল অর্জন।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসা বলেন, সোমবার দুপুরে এম ভি এমসিসি টোকিও বন্দরের পাঁচ নম্বর জেটিতে ভিড়ে বন্দরের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটা অধিক গভীরতার জাহাজ; যা জেটিতে ভিড়ে নতুন ইতিহাসের রেকর্ড করেছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে সম্প্রতি আউটারবার ড্রেজিং সম্পন্ন করতে পারায় এবং ইনারবার ড্রেজিং চলমান রাখায়। এই বিদ্যমান সুবিধার কারণে দেশের বড় বড় মেগাপ্রকল্পের মালামাল বন্দর দিয়ে আমদানি ও নতুন নতুন বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানি বেড়ে গেছে।
জেএন/কেকে