চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এন.এম নাসিরুদ্দিন বলেছেন, নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। শিশু ও শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কেউই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। সড়কে দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা প্রদান, ধর্মীয় স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। স্কুল-কলেজে প্রতিদিনের সমাবেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা জরুরী। প্রয়োজনে শিক্ষকেরা এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারে। পাশাপাশি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ যে সকল স্থানে ফুটওভার ব্রিজ আছে সেগুলো ব্যবহারে সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় নগরীর বাকলিয়া সরকারী কলেজ অডিটরিয়ামে ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ আয়োজিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু বা পঙ্গুত্ববরণ তা আমাদের কাম্য নয়। আবার সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকেরা দায়ী নয়। যাত্রী, পথচারী, সড়কের অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও সচেতনতাসহ আরও কিছু বিষয় দায়ী। দুর্ঘটনা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব। মানুষ গাড়িকে হাত উঁচিয়ে সঙ্কেত দিয়ে দৌঁেড় রাস্তা পারাপার হয়। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। এ ধরনের মনমানসিকতা পরিহার করতে হবে।
বাকলিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিএমপি ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রইছ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক কর্মসূচীর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক জাহিদ উদ্দিন সুলতান ও টিআই (প্রশাসন-দক্ষিণ) অনিল বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠানে বাকলিয়া সরকারী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/কেকে