নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, যে সংখ্যক রোহিঙ্গা দেশে আছে, তাদের নিয়েই আমরা বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে আছি। নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যার কারণে মিয়ানমার যুদ্ধে জড়িয়েছে। আমরা এখনো সঠিকভাবে জানি না, কার সঙ্গে তারা গোলাগুলি করছে, কাদের তারা প্রতিহত করছে। আমরা যতটুকু জানি, আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বিরোধ।
তিনি বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গুলি আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি বা দুয়েকটা ভেতরেও এসে পৌঁছেছে। একজনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ কারণে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রতিবাদে কাজ না হলে আমরা জাতিসংঘের কাছে আমাদের সমস্যাগুলো জানাব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ। কখনো কোথাও শান্তি বিঘ্নিত হোক, তা আমরা চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ মীমাংসার ব্যবস্থা করব। প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে আমরা বাংলাদেশে কোনো জঙ্গির উত্থান হতে দেব না। কোনো টেররিস্টকে এখানে অবস্থান করতে দেব না। শুধু তাই নয়, বিদেশের কোনো টেররিস্টের স্থানও এই মাটিতে হবে না। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পাঁচ বছর পূর্তি হয়েছে। আমাদের যেতে হবে আরও বহুদূর।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নতুন করে গোলাগুলি শুরু হয়। রাত ৮টার দিকে মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে একটি মর্টার শেল এসে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় পড়ে। এতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হন। এতে রোববার মিয়ানমারের দূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
এর আগে কয়েক দফায় মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল ও গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশের ভেতরে। ওইসব ঘটনায়ও মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে, বিশেষজ্ঞরা সমালোচনা করে বলছেন, এমন মৌখিক প্রতিবাদ কার্যকর কিছু নয়।
জেএন/কেকে