মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনে কূটনৈতিকভাবে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। সে জন্য মঙ্গলবার আসিয়ানবহির্ভূত দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঢাকায় দায়িত্বরত প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়। ঢাকার ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসিয়ানবহির্ভূত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার আসতে শুরু করেন।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইতালি, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেনসহ অনেক দেশের প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতরা এসে পৌঁছেছেন।
সেখানেই বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমারের বারবার মর্টার শেল নিক্ষেপসহ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাইন পুঁতে রাখা, মর্টার শেল নিক্ষেপে হত্যাসহ সীমান্ত সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবে ঢাকা।
এর আগে সোমবার আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর দূতদের সঙ্গে বৈঠক করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকায় দায়িত্বরত আসিয়ানের বাইরের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের মঙ্গলবার দুপুরে ডেকে মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টার কথা তুলে ধরা হবে।
সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ডাকা হয় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের। তবে সেখানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়নি।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ডাক পাওয়া রাষ্ট্রদূতদের জানানো হয়েছে যে বর্তমান মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতি স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যা কোনোমতেই সহনশীল পর্যায়ে নেই।
বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে মিয়ানমার সেনাদের। এই লড়াইয়ের মধ্যে মিয়ানমার সেনাদের ছোড়া বেশ কিছু মর্টার শেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।
সবশেষ শুক্রবার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন।
জয়নিউজ/পিডি