ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে পদত্যাগ করেছে উচ্চ আদালতের নির্ধারণ করে দেওয়া পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের সদস্যরা বুধবার আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। একই সঙ্গে ইভ্যালির অডিট রিপোর্ট (নিরীক্ষা প্রতিবেদন) এবং তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের দুজন সদস্য এ সব কথা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আদালতের বিধিনিষেধ থাকায় আমি এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আগামীকাল (বুধবার) আদালতে সবকিছু জমা দেব আমরা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা সোমবারই পদত্যাগ করেছি। আগামীকাল (বুধবার) আদালতে পদত্যাগপত্র উপস্থাপন করব। অডিট রিপোর্টসহ সব কাগজপত্রও জমা দেওয়া হবে। ২২ সেপ্টেম্বর নতুন বোর্ডকে আমরা দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব।’
গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের অন্য সদস্যরা ছিলেন—স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে বোর্ডের কাছে আবেদন করেন শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তাঁর মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। এরপর ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ শামীমা নাসরিন ও তাঁর মা, বোনের স্বামীকে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের মিটিংয়ে তাঁদের নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়। এই পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নিচে নয়, এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে বলা হয়। এ ছাড়া নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
এ ব্যাপারে শামীমা নাসরিনের আইনজীবী আহসান হাবীব বলেন, ‘আমরা শুনেছি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের সদস্যরা পদত্যাগপত্রের কপি আদালতে জমা দেবেন। এর বেশি কিছু আপাতত বলতে চাচ্ছি না।’
জেএন/কেকে