নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের মারধরে আহত ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলিম জীবন (২০) মারা গেছেন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত জামিউল আলিম জীবন নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজিপুর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জামিউল আলিম জীবনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের নানা অনিয়ম নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক জামিউল আলিম জীবন। বিষয়টি কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর আমতলী বাজারে জীবনকে ডেকে নিয়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার দুই ভাই ও তাদের সহযোগী আরও ৪-৫ জন। এ সময় বাধা দেওয়ায় জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেনকেও পেটানো হয়।
পরে আহত অবস্থায় জীবন ও তার বাবাকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। জীবনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার বড় ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক ও অপর ভাই আলিম আল রাজি শাহের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। পরে আসাদের ভাই আলিম আল রাজিকে রাতে রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদসহ তার অপর ভাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জেএন/কেকে