মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল দেবী দুর্গার আরাধনা। চারিদিকে এখন উৎসব আমেজ। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা।
শনিবার (১ অক্টোবর) ঢাকের বোল, কাঁসর ঘণ্টা, শাঁখের ধ্বনি ও মন্ত্রোচ্চারণের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে নগরের ১৮২টি বেশি পূজামন্ডপ। এ উৎসবকে ঘিরে নগরের চারিদিকে সাজসাজ রব।
সকালে বেলগাছতলে (বিল্ববৃক্ষ) দেবীর আবাহন, সংকল্প ও ‘ত্রিনয়নী’ দুর্গা দেবীর ঘুম ভাঙিয়ে পূজার্চনায় আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে দেবীকে বরণ করা হবে। ষষ্ঠীপূজা উপলক্ষে নগরের মন্ডপগুলোতে সন্ধ্যায় পূজামণ্ডপে ভক্তিমূলক গান, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানাঅনুষ্ঠান হবে।
চট্টেশ্বরী কালিবাড়ি সেবায়েত দেবু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী জয়নিউজকে বলেন, আজ মহাষষ্ঠী। মহাষষ্ঠীতে দশভূজা দেবীদুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
তিনি আরো বলেন, দেবীর ঘোটকে আগমন মানে সব কিছু ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া। এর মানে দেবী আমাদের একসতর্কবার্তা দিয়েই আসছেন। সুখ-দুঃখকে পাশাপাশি রেখে আমরা পথ চলব। পূজায় আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য আমরা দেবীর কাছে প্রার্থনা করবো।
নগরের হাজারী গলি, রাজাপুকুর পাড়, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, রুমঘাটা, চকবাজার সব মণ্ডপেই চলছে ষষ্ঠী পূজার উৎসব। এই উৎসব চলবে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। এবার দেবী কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসছেন গজে (হাতি) চড়ে। ফিরে যাবেন নৌকায় করে। এবার বসুন্ধরা হবে শস্যপূর্ণ।
এদিকে দুর্গোৎসব উপলক্ষে নগরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশ, র্যা ব, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।
জয়নিউজ/পিডি