চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকায় ১৯৯৮ সালে হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়াকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে করা মামলায় তার বন্ধু কামাল হোসেন প্রকাশ বালু কামালের সাজা হয়েছিল যাবজ্জীবন (অর্থাৎ ৩০ বছরের জেল। আর ওই ৩০ বছরের সাজা এড়াতে তিনি পালিয়ে ছিলেন ২৪ বছর। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি কামালের। অবশেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে র্যাব-৭ চাঁদপুর জেলার শাহরাস্থি থনাধীন মেহের ষ্টেশন রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার কামাল হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার কাউনিয়া এলাকার রসুল করিমের সন্তান।
র্যাব-৭ এর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নুরুল আবছার বলেন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া একজন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ছিলেন। তিনি দূর সম্পর্কের আত্মীয় মোঃ রফিকের আগ্রাবাদ কমার্স কলেজের বিপরীত পাশে অবস্থিত দি মেট্রো রেফ্রিজারেশন নামক দোকানে ফ্রিজ মেরামতের কাজ করকেন। পাশাপাশি এলাকায় শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। এলাকায় তার প্রটুর সুনাম ছিলেন। এ সুনাম কাল হয় তার জীবনে।
জাকারিয়াকে সবাই পছন্দ ও সম্মান করার বিষয়টি তার বন্ধু কামালের ভাল লাগত না।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৭ অক্টোবর কামাল জাকারিয়াকে জরুরী কথা আছে বলে তার দোকানে আসতে বলে। জাকারিয়া দোকানে আসলে মগ ভর্তি এসিড তার মুখে নিক্ষেপ করে। ফলে জাকারিয়ার চোখে, মুখে, বুকে, হাতে এসিড দ্বারা দগ্ধ হয়ে ঝলসে যায়। এসিড নিক্ষেপের পরও জাকারিয়ার মৃত্যু না হওয়ায় মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কামাল দিয়াশলাই দিয়ে জাকারিয়ার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় জাকারিয়ার বাবা মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া বাদী হয়ে পরদিন ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত আসামী মোঃ কামালকে যাবজ্জীবন (৩০ বছরের) কারাদন্ড দেয়।
৩০ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেফতারের পর সে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র গ্রেফতার এডাতে তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব জানায়, তার বিরুদ্ধে ৬টি চুরি ও ডাকাতি মামলাও রয়েছে।
জেএন/এফও/এও